দুই শর্তে রোজা রেখেও স্বামী-স্ত্রী চুমু খাওয়া যাবে!

দুই শর্তে রোজা রেখেও স্বামী-স্ত্রী চুমু খাওয়া যাবে!

শারীরিক ইবাদাতের মধ্যে রোজা বা সাওম অন্যতম। সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত যাবতীয় পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকার নামই সাওম। যেটা মানুষের সংযমের সর্বোচ্চ পরীক্ষা নেয়। কিন্তু এই সাওম অবস্থায় আমরা অনেক কিছু থেকে না বুঝেই বিরত থাকি। তার মধ্যে স্বামী-স্ত্রী চুমু খাওয়া থেকে বিরত থাকা। কিন্তু দুটি শর্ত মেনে রোজা রেখেও স্বামী-স্ত্রী চুম্বন করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:

জেনে নিন স্ত্রী স’হবা’সের দোয়া ও বেশ কিছু নিয়ম!

অনেকে আবার চুমু খাওয়ার পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে পানাহার শুরু করে। কিন্তু আমাদের খেয়াল রাখা দরকার দুটি শর্তের দিকে। শর্ত দুটি হলো- বীর্যপাত ঘটা কিংবা সহবাসে লিপ্ত হওয়ার আশঙ্কা না থাকলে স্ত্রীকে চুমু খাওয়া জায়েয। এতে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না।

হজরত আয়েশা (রাযি.) বলেন,

ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﷺ ﻳُﻘَﺒِّﻞُ ﻭَﻳُﺒَﺎﺷِﺮُ ﻭَﻫُﻮَ ﺻَﺎﺋِﻢٌ ﻭَﻟﻜِﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﺃَﻣْﻠَﻜَﻜُﻢْ ﻟِﺈِﺭْﺑِﻪِ

রাসূলুল্লাহ (সা.) সাওম পালন অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করতেন, স্ত্রীর সাথে মুবাশারা বা আলিঙ্গন করতেন। এবং তিনি ছিলেন তাঁর যৌনাকাঙ্ক্ষাকে নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে সক্ষম ব্যক্তি। (বুখারী শরীফ-১৯২৭)

তবে যুবকদের যেহেতু এ আশঙ্কা থাকে তাই তাদের এই থেকে দূরে থাকার কথাও বলাও আছে। আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রাযি.) বলেন, আমরা নবী (সা.) -এর নিকটে ছিলাম। এরই মধ্যে একজন যুবক এসে প্রশ্ন করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি কি রোজা অবস্থায় স্ত্রীকে চুম্বন করতে পারি? নবী (সা.) বললেন, না। এরপর হঠাৎ এলেন এক বৃদ্ধ।

আরও পড়ুন:

রোজায় স’হবাসে মানতে হবে যেসব বিধান

এবং নবী (স.)কে একই প্রশ্ন করলেন। নবী (সা.) বললেন, হ্যাঁ তুমি চুম্বন করতে পারো। আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবী (সা.) বললেন, আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ।

আরও পড়ুন: রমজান মাসে স্ত্রী সহবাসে বাধা নেই, তবে মানতে হবে বিধান

শোন, বৃদ্ধ ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। (মুসনাদে আহমদ ২/১৮০, ২৫০)