ইফতারের সময় হয়ে গেলে কিছু না খাওয়ার আগে কি স্বামী স্ত্রী মি;লন করতে পারে?

ইফতারের সময় হয়ে গেলে কিছু না খাওয়ার আগে কি স্বামী স্ত্রী মি;লন করতে পারে?

যদি স্বামী এতই ধৈর্যহারা হয়, তাহলে তা অবৈধ বলা যাবে না। যেহেতু সে সময় তাঁদের জন্য তা বৈধ। অবশ্য সুন্নত হল খেজুর পানি দিয়ে ইফতার করা। কিন্তু সেই সুন্নত পালনে কেউ যদি আধৈর্য হয়, তাহলে পেটের ক্ষুধা মিটাবার আগে যৌ;ন ক্ষুধা মিটাবার দরজা উন্মুক্ত আছে। ইবনে উমার (রাঃ) কোন কোন দিন স;হবাস দ্বারা ইফতার করতেন বলে বর্ণিত আছে। (ত্বারাবানী)

 

রোজা’ বলা হয়, ‘খাওয়া, পান করা এবং যৌনসম্ভোগ -এ তিনটি কাজ থেকে নিয়তসহ বিরত থাকার নাম হলো সাওম। (আল বিনায়া শরহে হিদায়া, ৪/৩)।

সুতরাং উক্ত সময়ে পানাহার ও স্ত্রী-সহবাস থেকে বিরত থাকা ফরজ। তবে ইফতারির পর থেকে শুরু করে সুবহে সাদিকের আগ পর্যন্ত পানাহার ও স্ত্রীর সঙ্গে সহবাস হালাল।

আরও পড়ুন:

রোজায় স’হবাসে মানতে হবে যেসব বিধান

কোনো ব্যক্তি যদি রমজান মাসে দিনের বলা রোজা অবস্থায় সহবাসে লিপ্ত হয় তাহলে সে গোনাহগার হবে। এবং তার উপর কাযা ও কাফফারা আবশ্যক হবে।
(আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৬)

হাদিসে বর্ণিত হয়েছে হযরত আবূ হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এক ব্যক্তি এসে বলল, আমি ধ্বংস হয়ে গেছি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তোমাকে কে ধ্বংস করেছে?

সাহাবী বললেন, রমজানে আমি আমার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলেছি। রাসূল সাঃ তাকে বললেন, তাহলে এর বদলে একটি গোলাম আযাদ কর। সাহাবী বললেন, আমি এতে সক্ষম নই। নবীজী সাঃ বললেন, তাহলে লাগাতার দুই মাস রোযা রাখ। সাহাবী বললেন, আমি এতেও সক্ষম নই। তখন রাসূল সাঃ বললেন, তাহলে তুমি ৬০ জন মিসকিনকে খানা খাওয়াও। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং-১৬৭১)

আরও পড়ুন:

জেনে নিন স্ত্রী স’হবা’সের দোয়া ও বেশ কিছু নিয়ম!

রোজা রেখে সহবাস পূর্ব কাজ থেকেও বিরত থাকা উচিত । কারণ নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে সহবাস করে ফেললে কাযা ও কাফফারা উভয় আবশ্যক হবে।

আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রা. বলেন,আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে ছিলাম। ইতিমধ্যে একজন যুবক এল এবং প্রশ্ন করল, আল্লাহর রাসূল! আমি কি রোযা অবস্থায় চুম্বন করতে পারি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না।

আরও পড়ুন: রমজান মাসে স্ত্রী সহবাসে বাধা নেই, তবে মানতে হবে বিধান

এরপর এক বৃদ্ধ এল এবং একই প্রশ্ন করল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হাঁ। আমরা তখন অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,আমি জানি, তোমরা কেন একে অপরের দিকে তাকাচ্ছ। শোন, বৃদ্ধ ব্যক্তি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।(মুসনাদে আহমদ ২/১৮০)

শিক্ষক: জামিয়া মিফতাহুল উলূম নেত্রকোনা